মোবাইলে ইন্টারনেট প্যাকেজ সীমা তুলে দিয়েছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। ফলে গ্রাহকরা এখন তাদের পছন্দমত প্যাকেজ কিনতে পারবেন। রবিবার (১২ জানুয়ারি) বিটিআরসির জারি করা ‘মোবাইল অপারেটরসমূহের ডাটা ও ডাটা সংশ্লিষ্ট প্যাকেজ’ সম্পর্কিত এক নির্দেশিকায় এসব বিষয় উল্লেখ করেছে বিটিআরসি।
বিটিআরসি ‘র নতুন নির্দেশিকায় অপারেটররা তিন ধরনের প্যাকেজ দিতে পারবে। প্রথমটি হলো– নিয়মিত প্যাকেজ। এ প্যাকেজগুলো সব গ্রাহকের জন্য উন্মুক্ত থাকবে। এর মেয়াদ হবে সর্বনিম্ন ১৫ দিন।
গ্রাহককেন্দ্রিক বিশেষ প্যাকেজ। এটিতে গ্রাহকের ব্যবহার ও গ্রাহকপ্রতি গড় রেভিনিউর ওপর ভিত্তি করে নির্দিষ্ট ক্যাটাগরির গ্রাহকের জন্য। এ ধরনের প্যাকেজের মেয়াদ হবে সর্বনিম্ন তিনদিন।
এছাড়া থাকবে রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট প্যাকেজ নামে একটি প্যাকেজ। যা বাজারের অবস্থা ও চাহিদা যাচাই-বাছাই করতে এবং ধরন বুঝতে গ্রাহকদের দেওয়া হবে। এটার মেয়াদ হবে সর্বনিম্ন ৭ দিন।
তিন প্যাকেজের বাইরেও গ্রাহকের স্বার্থ ও আর্থসামাজিক প্রেক্ষাপট বিবেচনায় অপারেটররা নিজস্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী প্যাকেজ নির্ধারণ করতে পারবে। তার আওতায় ঘণ্টাভিত্তিক ও ১-৩ দিন মেয়াদি প্যাকেজ করার সুযোগ দিয়েছে বিটিআরসি।
নির্দেশনা অনুযায়ী মোবাইলে ইন্টারনেট প্যাকেজ সীমা প্রতি ঘণ্টার জন্য সর্বোচ্চ ২০০ এমবি (মেগাবাইট), এক দিনের জন্য সর্বোচ্চ ৩ জিবি (গিগাবাইট), দুদিনের জন্য সর্বোচ্চ ৫ জিবি এবং তিন দিনের জন্য সর্বোচ্চ ৮ জিবি প্যাকেজ দিতে পারবে অপারেটররা।